আবারো চীনেই করোনা চোখ রাঙাচ্ছে!
আন্তর্জাতিকে ডেস্ক
এই তো দুই দিন আগে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে একটি জাহাজে ৮০০ করোনা আক্রান্ত যাত্রীর খবর আতংক ছড়িয়েছে। এবার নতুন করে চীনে ১৬,০৭২ জন কোভিডে আক্রান্ত হবার খবর বিশ্ব জুড়ে নতুন আতংক তৈরি হয়েছে। চীনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা গতকাল ছিল ১৪,৭৬১। গত ২৫ এপ্রিলের পর সে দেশে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হননি। আজ সে সংখ্যাটি কত দূর অবদি যায় সেটাই দেখার বিষয়। তবে বিশ্ব নেতারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর করোনার হানায় বিশ্ব জুড়ে নতুন করে অশনি সংকত দেখতে শুরু করেছেন।
২০২০ সালে চীন থেকেই বিশ্ব জুড়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। ২০২০ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত বিশ্বের শত শত ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবার ফলে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়েছে। অভাবে পড়েছে কোটি কোটি মানুষ। সাটডাউন আর লকডাউনে দিশেহার ছিল বিশ্ববাসী।
যে চীন থেকে করোনার জন্ম, সেই চীনে থেকেই নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা মহামারি। সে দেশের স্বাস্থ্য কমিশনের খবর অনুযায়ী, সোমবার সে দেশে নতুন করে ১৬,০৭২ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার এই সংখ্যাটাই ছিল ১৪,৭৬১। গত ২৫ এপ্রিলের পর চীনে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হননি। বেজিং, গুয়াংঝাউয়ের মতো প্রদেশগুলিতে সংক্রমণের হারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও, শাংহাইয়ের পরিস্থিতি বেগতিক বলে জানা গিয়েছে। কয়েক দিন আগেই করোনা আক্রান্তের কারণে চীনে আইফোনের ফ্যাক্টরি থেকে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ বন্ধ করে বেরিয়ে গেছে। চীনে যদি এভাবে প্রতিদিনই করোনার সংখ্যা বাড়তে থাকে, তাহলে বিশ্ব নতুন করে হুমকিতে পড়বে এটা নিশ্চিত।
চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে দৈনিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই, সংক্রমণ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ করছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তবে একই সঙ্গে মাথায় রাখা হচ্ছে, কড়াকড়ির মাত্রাকে যেন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কারণ, চীনের বিতর্কিত ‘জ়িরো টলারেন্স’ নীতির ফলে অর্থনীতি, নাগরিক জীবন বিপর্যস্ত হয়েছিল বলে অনেকেই মনে করেন। চীনের বেশ কিছু প্রদেশে নাগরিকদের বাড়ির বাইরে বেরোনোতেও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়।
বিশ্বে অতিমারির প্রকোপ অনেকাংশে কমে এলেও বেশ কিছু দেশে এখনও কোভিড প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে আছে কোভিড। এই দেশগুলির মধ্যে চীন অন্যতম। তবে অন্য দেশগুলির তুলনায় চীনকে নিয়ে বেশি চর্চা হওয়ার কারণ চীন প্রশাসনের কঠোর কোভিড-নীতি। এই কঠোর নীতির মাধ্যমে চীন অতিমারি-মুক্ত হবে বলে আশা করা হয়েছিল। স্থানীয় মানুষরাও নানা ভাবে এই নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। কিন্তু এর পরেও স্থানীয় স্তরে সংক্রমণ রুখতে পারেনি চীন সরকার।
সূত্র : সিএনএন